জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

চাঁদপুর জেলার প্রতিটি কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। এবার হাটে দেশি পশু পর্যাপ্ত রয়েছে। আর এসব পশুর দামও নাগালের মধ্যে। ক্রেতারা বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখছেন, দাম-দর করছেন, আর সুবিধা মতো মিলে গেলে পশু কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিক্রেতারা জানান, সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে হাটে এবার ভারতীয় গরু তেমন একটা উঠেনি। ফলে দেশীয় খামারিরা লাভের মুখ দেখার আশা করছেন।

ক্রেতারা জানান, হাটে দালালদের খপ্পর থেকে রেহাই পেতে অনেকেই এবার খামার থেকে কোরবানির পশু সংগ্রহ করছে। গৃহপালিত ও খামারে লালিত-পালিত চোখ জুড়ানো পশু জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি। কোরবানির পশু বেচা-কেনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চাঁদপুরের ৮ উপজেলার পশুরহাট। কোরবানির পূর্ব মুহূর্তে শহরের বিভিন্ন হাটে বেচাকেনা চলে রাত পর্যন্ত। গরু-ছাগল বেচা-কেনায় যাতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেদিকে প্রশাসনসহ হাট কর্তৃপক্ষ নজর রাখছে। তবে পশুর হাটে গরু-ছাগলের ব্যাপক সমাগম করা হলেও বিক্রি তেমন একটা বাড়েনি। আশা করে যাচ্ছে, আজ শনিবার ও কাল রোববার দুদিন পুরোপুরিভাবে জমবে পশুর হাট।

সরজমিনে বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত কোরবানির পশুর হাট। চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড স্বর্ণখোলা মাঠ, পুরাণবাজার ওসমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ, জাফরাবাদ এমদাদিয়া মাদ্রাসা মাঠ, রঘুনাথপুর হাইস্কুল মাঠ, ঢালীরঘাট জাহিদ মেম্বার বাড়ি, ফরক্কাবাদ স্কুল মাঠ, চান্দ্রা স্কুল মাঠে প্রচুর গরু ও ছাগল উঠেছে। সেখানে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। এবার বেশ সাইজের গরু শোভা পাচ্ছে হাটে। যার অধিকাংশ খামারি ও গৃহস্থের পালিত গরু।

রঘুনাথপুর ওয়াপদা চৌরাস্তার পশুর হাট পরিচালনাকারী স্থানীয় মুরবি্ব মোঃ শাহজাহান খান এবং ৫নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আলমগীর খান জানান, ডাকাতিয়া নদী কাছে হওয়ায় আমাদের এ হাটে কোরবানির অনেক গরু ও ছাগল বেচা-কেনা হয়। ৭/৮ বছর যাবত এ হাট বসছে। রঘুনাথপুর মোহাম্মদীয়া জামে মসজিদের নামে কোরবানির সময় হাট বসানো হয়। এখানে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে কোনো ঝামেলা নেই।

ফরক্কাবাদ স্কুল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, এখানেও প্রচুর গরু। বালিয়ার খামারি আলী আশ্বাদ মোল্লা জানান, তার দুটি গরু বিক্রির জন্যে এ হাটে নিয়ে এসেছেন। পৌনে দুই লাখ টাকা করে দাম পেলে বিক্রি করবেন।

চান্দ্রা হাইস্কুল পশুর হাট পরিচালনা সদস্য আলমগীর শেখ জানান, শুক্রবারই তাদের এখানে একদিনের জন্যে কোরবানির হাট। তাই বিক্রি ভালো হয়েছে।

কোরবানির হাট ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মোটামুটি সংখ্যক পশু বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার হাটে যারা আসছে দাম কষাকষি করে চলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে বেপারীরা এখানে শত শত গরু নিয়ে আসছেন। আমরা বেপারীদের জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি।

নিরাপত্তার জন্যে নিজস্ব লোকজন ছাড়াও পুলিশ টহলের ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া ক্রেতারা যাতে নিশ্চিতভাবে কোরবানির জন্যে তাদের পশু কিনতে পারেন, তার জন্যে পুলিশের টিম দায়িত্ব পালন করছে।