পরিবহন থেকেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনা, আপাতত ঘরেই থাকুন: ‘হু’

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে পৌঁছেছে করোনাভাইরাস। জীবন বাঁচাতে অনেকেই এখন লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, আবার অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে। তবে যারা এখনো বাইরে বের হচ্ছেন কিংবা গণপরিবহন, রিক্সা, সিএনজি বা পাঠাও কিংবা উবার ব্যবহার করছেন তারা কতটা নিরাপদে আছেন? 

কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই বিষয়টি? শুধু করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শেই নয় বরং তার ব্যবহার্য সব ধরনের জিনিসও ভাইরাসের কবলে পড়ে। এমনকি বিভিন্ন পরিবহনের সিটগুলোও।

প্রথম থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা বিষয়ক নানা ধরনের সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে। যত দিন এগিয়েছে, রোগের ভয়াবহতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সব সতর্কতায় যোগ হয়েছে একের পর এক বিষয়। সম্প্রতি ট্যাক্সি ও অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন পরিবহণে ওঠার বিষয়েও সতর্কতা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সময়ে রাস্তায় বের হওয়া যখন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে গণপরিবহণ ও ট্যাক্সি বা অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন পরিবহনে ওঠা আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ভাবুন তো একবার, আপনি যেই সিটে বসে যাচ্ছেন ওই সিটে যে একটু আগে কোনো করোনায় আক্রান্ত রোগী বসে ছিলেন না বা এই উবারে কোনো হাসপাতালে রোগীকে পৌঁছে দেয়ার হয়েছে কিনা তারো কোনো প্রমাণ নেই।  

এসব পরিবহণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে অন্তত এক সপ্তাহ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাই অসুখের উপসর্গ প্রকাশ পেতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় বাকি থাকে। এই সময়ের মধেই করোনা ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সুতরাং কে আক্রান্ত আর কে নন, তা নিয়েও তো সংশয় থাকছেই!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্তত দুই সপ্তাহ সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। এটিই সর্বোত্তম পন্থা করোনা মোকাবিলার। তাদের মতে, একটাই উপায়- সামাজিকভাবে আইসোলেশনে থাকতে হবে অর্থাৎ সোশ্যাল আইসোলেশন। 

বাড়িতে থাকুন, বাড়ির খাবার খান, বার বার হাত ধুয়ে নিন, নাকে-মুখে হাত দেবেন না। বাইরে না বেরলে এসব পরিবহনে ওঠারও প্রয়োজন নেই। তাই ভাইরাস রুখতে সেরা সমাধান বাড়িতে থাকা।