কচুয়ায় একচেটিয়া প্রচারণায় আওয়ামী লীগ, নীরব বিএনপি

সন্নিকটে চলে এসেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই হিসেব কষলে দেখা যায় প্রচারণার জন্য হাতে বাকি আর মাত্র ৬ দিন। তবে এখনো পর্যন্ত জোরালোভাবে মাঠে নামতে দেখা যাচ্ছে না বিএনপি প্রার্থীর।

 কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচার- প্রচারণা তুঙ্গে, তবে মাঠে নেই বিএনপির প্রার্থী। এ আসনের প্রার্থীরা হলেন :আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, বিএনপির কেন্দ্রীয়  নেতা ও মালয়েশিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, স্বতন্ত্র জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. শহীদুল ইসলাম, ইসলামী ফ্রন্টের নুরুল আলম মজুমদার, জাতীয় পার্টির এমদাদুল হক রুমন (উন্মুক্ত প্রার্থী), ইসলামী আন্দোলনের যোবায়ের আহমেদ ও গণফোরামের আজাদ হোসেন মজুমদার।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক ও পথসভা ইত্যাদি নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা নজর কাড়ার মত। পক্ষান্তরে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর প্রথম কয়েকদিন নির্বাচনী মাঠে সরব উপস্থিতি তথা গণসংযোগ ও পথসভা করতে দেখা যায়। ১২ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা হওয়ার পর ১৩ ডিসেম্বর থেকে বিএনপির প্রার্থীকে আর মাঠে ময়দানে  দেখা যাচ্ছে না। দলের পক্ষ থেকেও কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা নেই। প্রার্থী মাঠে নামলেও নানা কারণে মাঠে টিকতে পাছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন ও গণফোরামের প্রার্থীর পক্ষে মাঝে মধ্যে মাইকে প্রচার চালিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা যায়। এমনি অবস্থায় নির্বাচনী উত্তাপ ভাটা পড়ে আছে এ আসনে। বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, তারা নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অপেক্ষায় আছে। লেভেল প্লেয়িং সৃষ্টি হলে যে কোন সময়ে তারা নির্বাচনী মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

এদিকে বিএনপি ও অন্য দল গুলো যদি সক্রিয় না হয় তাহলে কি আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে নির্বাচনী গোল দেবে। এমনি গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে।