চাঁদপুর মেঘনায় ৬৩ টি জাটকা ধরা নৌকা জব্দ ও ১৭ জেলে আটক

চাঁদপুর মেঘনায় টাস্কফোর্সের অভিযানে ১৭ জন জেলেকে জাটকা ধরার অপরাধে আটক করে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড দেন। 
এই সময় ৬৩ টি জাটকা ধরার নৌকা আটক করা হয়েছে। একই সাথে ৫টি অবৈধ মাছের আড়ত পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এ সময় জেলেদের হামলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আহত হন। 

অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদীর পর্যটন স্পট, গোয়ালিয়র চর, রাজ রাজেস্বর ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী এলাকা, শরীয়তপুর সীমান্ত সংলগ্ন কাটাখালি , কাছিকাটা, সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরি এলাকা, আনন্দবাজার, শহরের টিলাবাড়ি এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময়ে ৬৩ টি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা আটক করে ব্যবহার অনুপযোগী করা হয়, ৫ টি মাছের আড়ত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়, পৌনে ৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়, ১ মন জাটকা আটক করে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

১৭ জন জেলের মধ্যে ১৩ জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড; বাকি ৪ জনকে বয়স বিবেচনায় ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম ।

অভিযান চলাকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজ রাজেশ্বর ইউনিয়নের কাটাখালি ও শরিয়তপুরের কাছিকাটার কাছে গেলে জেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ছোড়া ইট পাটকেলে টাস্কফোর্সের কয়েকজন আহত হয়। এ সময়ে আত্মরক্ষার্থে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১ রাউন্ড ব্ল্যাংক ফায়ার করে। জেলেদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মাথায় ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।

অভিযানে আরো ছিলেন চাঁদপুর নৌ থানার ওসি আবু তাহের, কোস্টগার্ড কমান্ডার আবদুল মালেক, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড এবং নৌ বাহিনীর নাবিকরা।