চাঁদপুরে ভাইভায় অনুপস্থিত ৬৩ জন

চাঁদপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ভাইভা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৬৩ জন। ৭ জন প্রার্থীর প্রয়োজনীয় কাজগপত্রের অভাবে বা বোর্ডে দেখাতে না পারায় তাদের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায় । পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৩৫ জন ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এ ভাইভা পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলে। জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় ৩৫০ সহকারী শিক্ষককের শূন্য পদের বিপরীতে ২০ নম্বরের এ ভাইভা পরীক্ষা চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রতিদিন দু’বেলা করে অনুষ্ঠিত হয় । চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় জুন ২০১৯ পর্যন্ত ৫৪ জন প্রধানশিক্ষক ও ২৩৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে জানা গেছে।

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১৩৫ জন। তৎকালীন প্রতিপদের বিপরীতে ৪জন করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হয়েছে । সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর সংখ্যা মতলত উত্তর । যার সংখ্যা ছিল ৪৮৮ জন।

চাঁদপুরের এ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর শাহরাস্তির ১১৮ জন, ১৭ অক্টোবর কচুয়া ও হাজীগঞ্জের ১২০ জন, ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জের ১৫৮ জন, ২৩,২৪,২৭ ও ২৮ অক্টোবর এ ৪ দিন প্রতিদিন ১২২ জন করে মতলব উত্তর ৪৮৮ জন, ২৯ অক্টোবর চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের ১১৩ জন এবং মতলব দক্ষিণে ১৩৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে।

প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা যায়, চাঁদপুর সদরের ২৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু’দফায় চাঁদপুর জেলার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৯১ জন। পরীক্ষার্থীয় অংশগ্রহণ করে ৩৩ হাজার ৭২ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৩ হাজার ১১৩ জন।

প্রথম দফায় ২৪ মে ২০১৯ সকল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৪৬৫ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৫ হাজার ৬১৫ জন। ফলে অনুপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৮৪৯ জন। চাঁদপুর সদরের ২৭টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার কেন্দ্রে ৩৭৪ টি কক্ষে ৮০ নম্বরের ৮০ টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

দ্বিতীয় দফায় এ নিয়োগ পরীক্ষার ৩১ মে ২০১৯ সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৬৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। ফলে অনুপস্থিত ছিল ৬ হাজার ২৪৯ জন।

প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮’ দেশের ৬৩ জেলায় আয়োজিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ১৫ সেপ্টেম্বর । সারাদেশে লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন প্রার্থী পাস করেছেন। চাঁদপুরে ১ হাজার ১৩৫ জন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রথম ধাপ ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ৩১ মে, তৃতীয় ধাপ ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৮ সালের ৩০ জুলাই ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতি আসনে ২০০ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের উপস্থিতে প্রতিদিন নির্দিস্ট তারিখ ও সময়ে ঔ পরীক্ষা গ্রহণ করা হযেছে । পরীক্ষার শেষ দিন সিলগালা করে সকল কাগজপত্র প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে পৌছে দেয়া হয়েছে।’