চাঁদপুরে মৎস্য আইন না মেনে চলছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন

চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় মৎস্য আইন না মেনে অবাদে চলছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু নিধন। এ কারনে দিন দিন অনেক প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এক সময় এক সময় জেলার বিভিন্ন খাল ও নদীতে ছিল শতাধিক প্রজাতির মাছ। পাওয়া যেত রুপালী ইলিশও। কিন্তু এক শ্রেণির অসৎ জেলের ছোট বড় রেনু মাছ ধ্বংসের কারণে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতায় বিলুপ্ত হতে চলেছে অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মৎস্য আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জেলেরা মাছ শিকারের জন্য নদী ও এর সাথে সংযুক্ত খাল-বিলে বেড় জাল, বেহেন্দি জাল, মশারি জাল, ঠেলা জাল, খুটা জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে এবং নদীর মাঝে ডুবোচরগুলোতে বাঁশ ও বেড় দিয়ে মাছ শিকার করছে।

এতে বড় মাছের পাশাপাশি শিকার করা হচ্ছে পোঁয়া, পাঙ্গাশ, বাইলা, তপসে মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু পোনা। বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকায় এখন প্রায় এসব মাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। এছাড়াও এ সমস্ত (মশারি) জালে আটকা পড়ে মারা যায় বিভিন্ন জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ যা প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষায় হুমকিস্বরূপ। নদীর পাড়ে বসবাসকারী কয়েকজন জানান, রেনু পোণা নিধনের বিষয়গুলো আমরা দেখছি এবং এগুলো না ধরার জন্য আমরা মানুষকে অবহিত ও সচেতন করি। তারপরেও এক ধরনের প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীর কারণে মাছ ধরা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার দাবি জানান। নদীর বুকে জাকের বাহার যার যার ইচ্ছে মত চলছে বিরাট যায়গা জুড়ে বাঁশ আর গাছের ডালা দিয়ে জাক তৈরি, বর্ষার শেষ দিকে আর শীতের শুরুতেই চলে জাক তৈরি করার প্রতিযোগিতা। সরকারিভাবে নিষেধ থাকা সত্বেও কেউ তা মানছে না, আর কর্তৃপক্ষ তেমন কোন দায়িত্ব পালন করছে না বলে ছোট বড় জাক দিয়ে ধনাগোদায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করছে একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আশাদুল বাকী জানান, আমরা অচিরেই অভিযানে নামবো। কোন জেলেই নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করতে পারবে না।