জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করছে মৌমাছি!
দৈনিক চাঁদপুর
প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
খুবই ছোট্ট একটা পতঙ্গ মৌমাছি। কিন্তু জানেন কি, মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে এই ছোট্ট পতঙ্গটির রয়েছে বিশাল অবদান। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মানবজাতি টিকিয়ে রাখতে মৌমাছির অবদান কতটুকু-
একটা পৃথিবীর কথা কল্পনা করো তো! যেখানে কোন ফলমূল নেই, কোন ফুল নেই, নেই কোন শাক-সবজি! এই পৃথিবীটা কিসের মত হবে? সেই পৃথিবীতে কি আমরা টিকে থাকতে পারবো?
মৌমাছি যদি না থাকে তাহলে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ প্রজাতির ফল, ফুল ও সবজি আর নতুন করে জন্ম নিবে না! নতুন করে জন্ম না নিলে একটা সময় পর আমরা নতুন কোন বীজ পাবো না। আর বীজ না পেলে ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে অনেক প্রজাতির গাছ বিলিন হয়ে যাবে! দেখা দেবে অক্সিজেন সংকট। পুরা ফুড চেইনের বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল।
আমাদের পৃথিবীর একতৃতীয়াংশ খাবারের যোগানে প্রত্যক্ষভাবে অবদান রয়েছে মৌমাছির। গবেষণা বলছে, পৃথিবীর সর্বশেষ মৌমাছিটি মারা যাওয়ার ঠিক তিন মাসের মধ্যে সারাবিশ্বের ফুড চেইন পুরোপুরিভাবে ভেঙ্গে পড়বে, বিশৃঙ্খল হয়ে যাবে। আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ খাবারই হাতের নাগালে পাবো না। বলা হচ্ছে, তখন অনেক দামি হিরা, জহরতের চেয়ে খাবারের দাম বেশি থাকবে। আর, একসময় আমাদের সংরক্ষণ করা খাবারও শেষ হবে! শুধুই কি খাবার? মৌমাছি না থাকলে আমরা কোনো ধরণে কটন সমৃদ্ধ জামা-কাপড়ও তৈরি করতে পারবো না। কারণ মৌমাছি না থাকলে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম কাঁচামাল তুলা কখনো উৎপন্ন হবে না। ফলে আমাদেরকে আবার আগের যুগের মানুষের মতো গাছের ছাল-বাকলকেই জামা কাপড় হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
পরিবেশের ভারসাম্য পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে যাবে, খাবারের সংকট দেখা দিবে। একসময় হয়তো আমাদের পৃথিবী আর বসবাস উপযোগী থাকবে না। মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহের মতো মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে।
পৃথিবীতে মৌমাছির এতো অবদান কীভাবে?
পরাগায়ন সম্পর্কেতো সবারই জানা। অনেক ধরণের ফুল বা ফল হওয়ার জন্য বা ফুল থেকে ফলে পরিণত হওয়ার জন্য ফুলের পরাগরেণুকে (প্রজননের উপাদান) ফুলের গর্ভমুন্ডে এসে পড়তে হয়। পরাগরেণু গর্ভমুন্ডে আসলেই ফল, ফুল ইত্যাদি পরিপূর্ণ হয়ে গড়ে উঠে। এই প্রক্রিয়াকেই মূলত পরাগায়ন বলে।
পরাগায়ন দু-ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো স্ব-পরাগায়ন ও আরেকটি হলো পর-পরাগায়ন। দুটো নাম-দেখেই কিন্তু অনুমান করা যায় প্রক্রিয়াগুলো কেন আলাদা বা প্রক্রিয়াগুলোর কাজ কেমন।
> স্ব মানে নিজ। তাহলে স্ব-পরাগায়ন মানে যে নিজে নিজে পরাগায়ন সম্পন্ন করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকে পরাগরেণু ও গর্ভমুন্ড একই ফুলের বা একই গাছের হতে হবে। তাহলে তারা নিজেরা নিজেদের পরাগায়ন করতে পারবে। কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হবে না।
> আর পর-পরাগায়ন মানে হলো যেখানে পরাগায়ন সম্পন্ন হতে অন্যের সাহায্য লাগে। যেমন মৌমাছি, বাতাস বা অন্যান্য পোকামাকড়। এই প্রক্রিয়াতেই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। বাতাসের মাধ্যমে পরাগরেণু উড়ে গিয়ে অন্য কোন ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়লে সেখানে নতুন ফল বা ফুল উৎপন্ন হয়। কিংবা পোকামাকড় একটা ফুলের উপর বসলে ফুল থেকে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বা মুখে পরাগরেণু লেগে যায়, পরে আবার উড়ে উড়ে অন্য কোনো ফুলের উপর বসলে পরাগরেণু ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে। পড়লে সেখানে ফল বা ফুল উৎপন্ন হয়।
কিন্তু পর-পরাগায়নেতো শুধু মৌমাছির অবদান নাই, অবদান আছে বাতাস ও অন্যান্য পোকামাকড়েরও। মৌমাছির কথা কেন এত বেশি বলছি? কারণ বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়নের জন্য পরাগরেণুকে উড়ে গিয়ে গর্ভমুন্ডে পড়তে হয়। এবার ভাবোতো, বাতাসের মাধ্যমে কয়টা পরাগরেণু গর্ভমুন্ড খুঁজে পাবে?
এবার অন্যান্য পোকামাকড়। তারা সরাসরি ফুলের উপর গিয়ে বসে না। তারা লতাপাতা, ডালপালা ইত্যাদির উপরে গিয়ে বসে, ফলে তাদের দ্বারা পরাগায়ন হওয়ার পরিমাণও অনেক অনেক কম।
কিন্তু মৌমাছি কি করে?
হ্যাঁ, মৌমাছির কাজই হচ্ছে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানো। কারণ তারা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সবসময়। ফলে তারাই সবচেয়ে বেশি ফুলে ফুলে ঘোরে। তারা ফুলে ফুলে ঘুরলেই আমাদের জন্য খাবার তৈরি হয়। ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যায় পৃথিবী।
- মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
- মদ খেয়ে নারী নিয়ে হোটেলে নোবেল, গভীর রাতে চেঁচামেচি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৫
- দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে
- ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ক্রোয়েশিয়া
- দেশে করোনায় ৮২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮ হাজার
- মোংলা বন্দরের নতুন চ্যানেল নির্মাণ সম্পন্ন
- আয়কর দিতে হবে ৩০ তারিখের মধ্যে
- গ্রামীণ বিদ্যুৎ সুবিধা উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
- দেশের নানা আয়োজনে ১৭-২৬ মার্চ যোগ দেবেন বিশ্ব নেতারা
- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা
- কর্মস্থল ত্যাগকারীদের তালিকা চায় মন্ত্রণালয়
- ‘মধ্যবিত্তদেরও খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে’
- আজ থেকে চালু হচ্ছে মালবাহী ট্রেন
- চালু হলো দেশের প্রথম বেসরকারি আরটি পিসিআর ল্যাব
- করোনার আতঙ্কেও এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ
- উৎপাদন বৃদ্ধিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার
- করোনাকালে চূড়ান্ত এমপিওভুক্তির সুখবর পেল ১৬৩৩ স্কুল-কলেজ
- হাওরে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ধান কাটছেন: কৃষিমন্ত্রী
- ময়মনসিংহে করোনা রোগীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫টি অ্যাম্বুলেন্স
- করোনা মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা দর্শন
- বৈশ্বিক ক্রয়াদেশ পূরণে সক্ষম বাংলাদেশ ॥ শেখ হাসিনা
- মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে মানুষ, দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে
- করোনা পরীক্ষা হবে চার বেসরকারি হাসপাতালে
- ২০ হাজারের বেশি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সুখবর আসছে ব্যাংক সুদে
- গুগল ম্যাপের বিকল্প আনলো হুয়াওয়ে
- অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন
- ঘরে থাকা সাত জিনিস ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর
- ফ্রিজে ২৮ দিন বাঁচে সার্স-কভ ভাইরাস! জীবাণুমুক্ত করার উপায়