দিবস জানে কিন্তু ইতিহাস জানে না শিক্ষার্থীরা!
দৈনিক চাঁদপুর
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
ডিসেম্বরের ১৪ ও ১৬ তারিখ বাঙালির জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৪ ডিসেম্বর নৃশংসভাবে খুন হয়েছিল জাতির বুদ্ধিজীবী সন্তানেরা। এর দুদিন পর ১৬ তারিখে এসেছিল চূড়ান্ত বিজয়। সেদিনই বাংলাদেশ পেয়েছিল তার বহু বছরের আরাধ্য স্বাধীনতা।
এ দুটি দিবস সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে সেটি জানতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের কয়েক’শ শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করেছিল ডেইলি বাংলাদেশ। এদের বেশিরভাগই বিজয় দিবসের ইতিহাস মোটামুটি জানলেও, বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তেমনভাবে কেউই জানে না।
রাজধানীর উদয়ন বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাফরুহা যেমন বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে গুলিয়ে ফেলেছেন। একই অবস্থা তার সহপাঠী তপুরও। দুজনই জানেন যে, ১৪ ডিসেম্বর হয়েছিল ভাষা আন্দোলন! ডেইলি বাংলাদেশকে সে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভাষার জন্য আন্দোলন হয়েছিল!
তবে বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ঠিকমতো বলতে না পারলেও বিজয় দিবসের ইতিহাস পুরোপুরিই জানে তারা।
একই অবস্থা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুলের শিক্ষার্থী রাশেদ, রওনক, শাহেদ আর তানভীরদেরও। এদের কেউই বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস না ঠিকমতো জানে না। তবে সেদিন বেশ কিছু ডাক্তার ও সাংবাদিককে মেরে ফেলা হয়েছিল বলে শুনেছে সপ্তম শ্রেণির এসব শিক্ষার্থীরা।
রওনক বলে, বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস পড়া হয়নি। শুনেছি ঢাকা মেডিকেলের কয়েকজন চিকিৎসককে পাকিস্তানিরা মেরে ফেলেছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বর এর সম্পর্কে জানি। সেদিন হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ চূড়ান্ত হবে স্বাধীনতা পায়।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি কলেজ, ভিকারুননিসা স্কুল, আজিমপুর গার্লস স্কুল, সেগুনবাগিচা হাই স্কুল, অগ্রণী ব্যাংক হাই স্কুল সহ প্রায় ১০টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাঠ্যবইয়ে বিজয় দিবসের ইতিহাস বিস্তারিত পড়ানো হলেও বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস নিচের শ্রেণিতে তেমন ভাবে পড়ানো হয় না। এজন্যই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের কাছে এ দিনটির ইতিহাস এখনো অজানা।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা বানু বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদেরকে দেশের ইতিহাস জানানোর জন্য পাঠ দিয়ে থাকি। বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে তারা জানে। তবে নিচের শ্রেণিতে এ দিনটি সম্পর্কে কোন টেক্সট পাঠ্য নয় বলে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে না। এজন্য হয়তো ঠিকভাবে বলতে পারেনি।
তিনি জানান, আজ সারা দিন তার স্কুল ক্যাম্পাসে বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ সেলিনা বানু মনে করেন, শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পর্যায়ে থেকেই দেশের ইতিহাস জানানো উচিত। এটি করা হলে দেশের তাদের দায়িত্ববোধ বাড়ে। অধ্যক্ষের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন উল্লেখিত বাকি কলেজগুলোর অধ্যক্ষরাও।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বিজয় দিবসের ইতিহাস যেমন জরুরি তেমনি বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস জানাটাও জরুরি। শিক্ষকদের ইতিহাস বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত জানাতে হবে।
পাকিস্তানি হানাদাররা ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির উপর যে নারকীয় ও ঘৃণ্যতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তারমধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সারা পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে আছেন ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডা. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, কবি মেহেরুন্নেসা, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দিন আহমেদ, গিয়াস উদ্দীন আহমদ, খন্দকার আবু তালেব, আনম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, আলতাফ মাহমুদ, ড. আবদুল খায়ের, ড. সিরাজুল হক খান, ড. ফয়জল মহী, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, অধ্যাপক হবিবুর রহমান সহ আরো অনেকে।
- মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
- মদ খেয়ে নারী নিয়ে হোটেলে নোবেল, গভীর রাতে চেঁচামেচি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৫
- দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে
- ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ক্রোয়েশিয়া
- দেশে করোনায় ৮২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮ হাজার
- মোংলা বন্দরের নতুন চ্যানেল নির্মাণ সম্পন্ন
- আয়কর দিতে হবে ৩০ তারিখের মধ্যে
- গ্রামীণ বিদ্যুৎ সুবিধা উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
- দেশের নানা আয়োজনে ১৭-২৬ মার্চ যোগ দেবেন বিশ্ব নেতারা
- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা
- কর্মস্থল ত্যাগকারীদের তালিকা চায় মন্ত্রণালয়
- ‘মধ্যবিত্তদেরও খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে’
- আজ থেকে চালু হচ্ছে মালবাহী ট্রেন
- চালু হলো দেশের প্রথম বেসরকারি আরটি পিসিআর ল্যাব
- করোনার আতঙ্কেও এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ
- উৎপাদন বৃদ্ধিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার
- করোনাকালে চূড়ান্ত এমপিওভুক্তির সুখবর পেল ১৬৩৩ স্কুল-কলেজ
- হাওরে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ধান কাটছেন: কৃষিমন্ত্রী
- ময়মনসিংহে করোনা রোগীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫টি অ্যাম্বুলেন্স
- করোনা মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা দর্শন
- বৈশ্বিক ক্রয়াদেশ পূরণে সক্ষম বাংলাদেশ ॥ শেখ হাসিনা
- মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে মানুষ, দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে
- করোনা পরীক্ষা হবে চার বেসরকারি হাসপাতালে
- ২০ হাজারের বেশি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সুখবর আসছে ব্যাংক সুদে
- গুগল ম্যাপের বিকল্প আনলো হুয়াওয়ে
- অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন
- ঘরে থাকা সাত জিনিস ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর
- ফ্রিজে ২৮ দিন বাঁচে সার্স-কভ ভাইরাস! জীবাণুমুক্ত করার উপায়