নগ্ন ছবি ফাঁস, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ কেটির পদত্যাগ

নগ্ন ছবি ফাঁস ও বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ কেটি হিল।
হাউস নীতিশাস্ত্র কমিটির তদন্তাধীন মার্কিন প্রতিনিধি কেটি হিল ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত হওয়া ডেমোক্রেট দলের সদস্য।

গতকাল রোববার কেটি তার পদত্যাগপত্রটি টুইটারে পোস্ট করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে যেহেতু তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে তদন্ত চলছে তাই তিনি ভাঙা হৃদয় নিয়ে পদত্যাগ করছেন।

তিনি পদত্যাগ সম্পর্কে লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি আমার নির্বাচনী দায়িত্ব, আমার সম্প্রদায় ও দেশের জন্য এটাই উত্তম।তার বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত ওই সম্পর্কের বিষয়ে তদন্ত করছে প্রতিনিধি পরিষদের এথিকস কমিটি।
 
রক্ষণশীল ব্লগ রেডস্টেট সম্প্রতি একটি অভিযোগ করে রিপোর্ট প্রকাশ করে, কংগ্রেসে তার একজন পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল মিস কেটি হিলের। আলাদা এক রিপোর্টে এতে বলা হয়, কেটি হিল পুরুষ ও নারী উভয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এর বাইরে তিনি তার নির্বাচনী একজন সদস্যের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এতে তার সম্মতি ছিল। একই সঙ্গে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের মুখোমুখি স্বামীর সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করেন। ফলে ত্রিমুখী হয়ে ওঠে তার যৌন জীবন। এছাড়া ওই সাইটটি তার বেশ কিছু নগ্ন ছবিও প্রকাশ করে। এ কারণে প্রতিনিধি পরিষদের এথিকস কমিটি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।

কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হওয়ার সময় হিল একটি প্রচারণাকর্মীর সঙ্গে ‘অনুপযুক্ত’ সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অফিসে কোনো কর্মীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক আছে তা তিনি অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, গোপনীয় ব্যক্তিগত ছবিকে আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা আমার গোপনীয়তার বিরুদ্ধে একটি আগ্রাসন। এমন ছবি প্রকাশও অবৈধ। বর্তমানে এ বিষয়ে আইনগত সব বিষয় খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। যতক্ষণ কংগ্রেসে আছি ততক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে- এর পরে কি প্রকাশ করা হবে এবং তা আমাকে কতটা আঘাত করবে।তবে কেটি হিল এসবের জন্য তার স্বামীকে দায়ী করেছেন। কারণ তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের প্রত্রিয়া চলছে।

বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যাওয়া হিল ‘পথে ভুল হয়েছে’ বলে তার পদত্যাগপত্রে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তবে একটি ‘স্মিয়ার প্রচার’ শোক প্রকাশ করেছেন।

কেটি হিল মনে করেন, তার স্বামীই তাকে অবমাননা করার চেষ্টা করে থাকতে পারে। তিনি বলেছেন, তার বৈবাহিক জীবনের শেষ বছরে নির্বাচনী ওই স্টাফের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। তার ভাষায়, আমি জানি এক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কও অনুচিত। এ জন্য আমি সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।