বাল্যবিয়ের খাবার খেল এতিমরা

বাল্যবিয়েতে মেহমানদের জন্যে রান্নাকৃত খাবারে এতিমখানার ছাত্রদের ভুরিভোজ হয়েছে। সোমবার বিকেলে জনৈক বালিকার বিয়ে বন্ধ করে সেই বিয়ের সকল খাবার স্থানীয় এতিমখানায় পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মেয়েকে বিয়ে দেয়া যাবে না এমন বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঐ বালিকার বাবা-মা থেকে মুচলেকা নেন। আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে। মেয়েটি স্থানীয় পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে ঐ ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার জন্যে তার পরিবার সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করে। রান্নার কাজ শেষসহ মেহমান চলে আসে। শুধু ছেলে পক্ষ আসা বাকি ছিলো। এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেয়েটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। এরপরেই ঐ ছাত্রীর বাবার উঠানে বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এক পর্যায়ে ঐ ছাত্রীর বাবা-মা তাদের মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না এমন বিষয়ে মুচলেকা প্রদান করেন। এ সময় উক্ত আদালত মেহমানের জন্যে রান্না করা সকল খাদ্য পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমপ্লেঙ্ েপ্রেরণ করেন। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকে সকল রান্না করা খাবার পিক-আপে করে এতিমখানায় পাঠিয়ে দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও আদালত পরিচালনাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সানজিদা মজুমদার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া, পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান পাটওয়ারীসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এর আগে গত শুক্রবার একই আদালত উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাটিলা গ্রামে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে তার বাবাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।