রামপুর বাজার খাল না ড্রেন বোঝা মুশকিল

হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া, পুরানো খালটি বর্তমানে ড্রেনে পরিনত হয়েছে। বাজারের প্রভাবশালী ব্যবাসয়ীদের অবৈধ দখল ও বর্জ্য-ব্যবস্থাপনাই এই সমস্যার প্রধান কারন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর বাজার  ঐত্যিবাহী বিশাল খালটি, স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। দুই পাশে সারিবদ্ধ দোকান পাটে ভরে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের ময়লা আবর্জনার স্তুপ প্রতিনিয়ত খালে ফেলে বর্তমানে এটিকে ড্রেনে পরিনত করেছে। যে কারনে বর্ষার সময় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কৃষকের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা পর্যন্ত বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
 
‘কুচির বিল’ খালটি নোয়াহাটা মাড়ামুড়া রামপুর বাজার হয়ে, সৈয়দপুর মৈশাইদসহ ১০/১২টি গ্রামের কৃষকদের পানি সরবরাহের এক মাত্র মাধ্যম বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে এসব অঞ্চলের কৃষকরা ইরি-বোরো চাষাবাদের কার্যক্রম শুরু করতে গিয়ে পানি জটে ভুগছে। রামপুর বাজারের এ খালটিতে সময়মত পানি সরবরাহ না পেয়ে অনেক কৃষক, চাষাবাদ কার্যক্রম করতে পারছে না। 

জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলা কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রামপুর বাজারের খালটির ময়লা আবর্জনা সরিয়ে ড্রেনের মত লাইন করে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করায়, শেষ সময়ে এসে অনেক কৃষক জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, স্থানীয় ব্যাবসয়ীদের খালের উপর ময়লা বর্জ্য না ফেলার জন্য দায়সরা অনুরোধ করলেও, বিকল্প ময়লা আবর্জনা রাখার ব্যবস্থা না থাকায় লাভ হয় নি। 
রামপুর বাজারের কতিপয় মুরগী ফার্মের ব্যবসায়ী সোলেমান, বাচ্চু, নুর আলম মিলে তাদের মুরগীর যত আবর্জনা সব খালের পাশে ফেলছে। তাছাড়া মাছ ও তরকারি বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যত আবর্জনার স্তুপ, সব খালের উপর ফেলে খালের নাব্যতা নষ্ট করছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তরা বলেন, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান থাকলে, খালের উপর এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলতাম না। রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক এস এম মানিক ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বার বার মুরগীর দোকানদার ও কাচা মালের ব্যবসায়ীদের বাধাঁ দিলেও তারা তাদের সুবি্ধার কারনে খালের উপর ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। বাজারের মালি আছে তাকে নিদিষ্ট স্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার পরেও এরা কেন যে খালের উপর ময়লা ফেলে রাখে!! 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ম মনি সূত্রধর বলেন, আমাদের স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে, আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি সরবরাহের নিশ্চয়তায় কাজ করবো।