হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে বন্ধ হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তি

'হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে ভিক্ষাবৃত্তি থাকবে না। আজ হাজীগঞ্জের বাকিলা ও রাজারগাঁও ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ও পুনর্বাসন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অল্পদিনের মধ্যে অন্য ইউনিয়নগুলোকে ভিক্ষুকমুক্ত ও পুনর্বাসন করা হবে। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে দেশে গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে। এখন আবার ভিক্ষুকমুক্ত ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, একই সাথে আর ভিক্ষুক থাকবে না।' গতকাল রোববার হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ও বাকিলা ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ও ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনকালে এসব কথা বলেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।

মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র ও নিরক্ষরমুক্ত এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্বে কাজ করছে সরকার। ইতিমধ্যে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। হয়েছে দৃশ্যমান উন্নয়ন। যা বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাঝে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২১ ও ৪১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হবো। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। কিন্তু দেশের আপামর জনগণের একটি অংশকে বাদ দিয়ে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সরকার দেশের সকল সেক্টরে সম-উন্নয়নে কাজ করছে। যার সুফল ইতিমধ্যে আমরা ভোগ করছি। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন বাস্তবায়ন হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়ার সভাপ্রধানে ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২৮জন ভিক্ষুকের মাঝে পুনর্বাসনের জন্যে ভিক্ষুকদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়।

একইদিন বিকেলে ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়ার সভাপ্রধানে ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৩জন ভিক্ষুকের মাঝে পুনর্বাসনের জন্যে ভিক্ষুকদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভিন মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া, আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম মীর, জাকির হোসেন লিটু, মির্জা জলিলুর রহমান দুলাল, রফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম বকাউল প্রমুখ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী আশ্রাফ দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুকুর আলম শুভ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাবি্ব প্রমুখ।

এ সময় উপজেলা ও স্ব-স্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুবিধাভোগী এবং তাদের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।