ঘরে বসে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

করোনাভাইরাসের প্রভাবের ফলে এবার বাইরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়নি। তবে তাতে কি ঘরে বসেই গৃহবন্দী মানুষগুলো বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে। বাড়ি বাড়ি আয়োজন হয়েছে বৈশাখী খাবার। এছাড়া বৈশাখী শাড়ি ও পাঞ্জাবি পড়ে অনেকেই বাড়ির বারান্দা এবং ছাদে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

বাঙালি হয়তো কোনো বছরই এমনভাবে বৈশাখ উদযাপন করেনি। নববর্ষকে বরণ করে নিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভিডিও কলের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে কৌশল বিনিময় করছেন। শুধু তাই নয়, বৈশাখী সাজে তাড়া ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন এমন ছবি তুলে পোস্ট করছেন।

প্রতিবছর বাংলা নববর্ষকে ঘিরে বাঙালিদের নানা পরিকল্পনা থাকলেও এবার করোনাভাইরাসের প্রভাবের ফলে সবকিছু ভেস্তে গেছে। মানুষ এখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে খুব দ্রুত যেনো এই মহামারি থেকে সারাবিশ্বের মানুষ মুক্তি পায়।

প্রতিবছর চাঁদপুর শহরে পহেলা বৈশাখের উৎসব খুব চমৎকার করে আয়োজন করো জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও সব আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আফসানা, কানিজ ফাতেমা ও নিসাত ইমরোজ জানান, বাংলা নববর্ষকে ঘিরে প্রতিবছর কলেজে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকি কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে কলেজে এবার কোনো আয়োজন হয়নি। আমরা সব বন্ধুরা ঘরে বসেই বৈশাখ উদযাপন করেছি। আমরা সব বন্ধুরা ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করেছি।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ পাটওয়ারী বলেন, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বাঙালির অন্যতম একটি দিন। বৈশাখের এদিনে বাঙালি আজ ঘরবন্দী। করোনাভাইরাস থেকে নিজে এবং পরিবারকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরে থাকতে হবে। তাহলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।