বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করছে সেনাবাহিনী

চট্টগ্রামে প্রায় ২ হাজার বিদেশ ফেরত ব্যক্তির জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির কাজ করছে সেনাবাহিনী। এর আওতায় প্রথমে নগরীর বায়েজিদের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ভবন ও সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৭০০ মানুষের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশ থেকে যারাই চট্টগ্রামে আসবেন, তাদের সেনাবাহিনী নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন থাকতে হবে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম ফ্লাইটটি আজ বুধবার আসার কথা রয়েছে। ভারতে আটকেপড়া ৬০০ যাত্রী চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে চট্টগ্রামে ঢুকবে বলে জানা গেছে। এদের প্রত্যেককেই নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে যেতে হবে। এর মধ্যে ৩০০ জনকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এবং অপর ৩০০ জনকে বায়েজিদের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে রাখা হবে। আজ বুধবার থেকে পরবর্তী দিনগুলোতে বিশেষ বিমানে ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে আটকেপড়া ১ হাজার ৬০০ জনের চট্টগ্রামে ফেরার কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরের বিভিন্ন এলাকায় আরো ১ হাজার ৩০০ মানুষের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সেনাবাহিনীর। এর মধ্যে রয়েছে কাজির দেউড়ির এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, নগরীর কিছু হোটেল ও মোটেল, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটকে ঘিরেই মূলত পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যে এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গত সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভাতেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে। বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে ওই সভায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অফ মেডিকেল সার্ভিসেস কর্নেল মাসুদ এবং জেনারেল স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিসহ অন্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।