সৌন্দর্য বাড়াতে ৪৬৬ কোটি টাকার প্রকল্প

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আমাদের কক্সবাজারে। সাগর পাড়ের এ জেলার পর্যটনকে আরো বিস্তৃত করতে মেরিন ড্রাইভের প্রবেশমুখে নির্মিত হবে দৃষ্টিনন্দন ফ্লাইওভার ও সাইকেলওয়ে। এতে মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে কক্সবাজার জেলা।

‘মেরিন ড্রাইভের প্রথম ১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ফ্লাইওভার নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এছাড়াও কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত সাইকেলওয়ে-ওয়াকওয়ে মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যেই ৪৬৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

কক্সবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যায় বিশাল সমুদ্রের বুকে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য সবার ভালো লাগে। মেরিন ড্রাইভের শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক থাকায় পর্যটকরা নানা অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছেন। ফ্লাইওভার হলে ভোগান্তি দূর হবে।

পিন্টু চাকমা বলেন, আমরা দ্রুত ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। কক্সবাজার জেলার সঙ্গে মেরিন ড্রাইভের সংযোগে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে। এছাড়া সাইকেলওয়ে-ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হলে মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকরা নানা সুবিধা পাবেন। প্রকল্পটি আধুনিক পর্যটন শিল্পে অনেক ভূমিকা রাখবে। এতে যানজট নিরসন, পণ্য ও কাঁচামাল বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখবে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আসবে প্রকল্পের মাধ্যমে।