বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে বাংলাদেশ

বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ। ১৯৭০ সালের মতো ২০১৮ সালেও নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ গণজোয়ারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভরাডুবি হয়েছে । আওয়ামী লীগের আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও দেশকে আরও এগিয়ে নিতে দেশের মানুষ আবারও বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করেছে।

নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি নেতাদের মুখে হতাশার সুর শোনা গিয়েছিলো । তারা সম্ভবত ২০-৩০টির বেশি আসন পাবে না জেনে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিল। তবে তাদের সব ধরনের সহিংসতার জবাব দেওয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার বেষ্টনী দিয়ে ঢেকে রেখেছিলো দেশকে।

শুরু থেকে নির্বাচনের বিষয়ে যে শঙ্কা ছিল তার ভিন্ন চিত্র গতকাল ভোটকেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে। আকাশে মেঘ থাকবেই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেঘ কেটে যায়। যে কালো মেঘ ছিল তা কেটে গেছিল ভোটারদের উপস্থিতিতে । ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। দলে দলে ভোটকেন্দ্রে মানুষের উপচেপড়া ভিড় তাই প্রমাণ করে।প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে মানুষ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নৌকা প্রতীককে সমর্থন করেছে।

আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ বিগত দশ বছরে আওয়ামী লীগ উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিয়েছিলো। মানুষের দুঃখ -দুর্দশাগুলো কাছ থেকে অবলোকন করেছে। সেগুলো সমাধানের জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছে। আর এই প্রচেষ্টা ও সংগ্রামকে আরও সাফল্যমন্ডিত করার জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষ গতকালের নির্বাচনে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি করেছে।

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃর্ত্বে দেশকে উন্নত বিশ্বের তালিকায় অধিষ্ঠিত করতে দেশের মানুষ আবারও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে স্বতঃস্ফর্তও অংশগ্রহণ করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের কারণে ২০১৭ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৩০ এ। এ ছাড়াও ” রাজনীতিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীর’’ তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ২২ তম।সীমাহীন অবদানের কারণে সম্প্রতি আয়রন লেডি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর এর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে।