মতলব উত্তরে স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছায় লকডাউন

মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনা প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় লকডাউনে এগিয়ে আসছেন স্থানীয় তরুণরা। গ্রামে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। টানিয়ে দেয়া হচ্ছে নোটিস। অপ্রয়োজনে যেনো এক এলাকার লোকজন অন্য এলাকায় না আসেন। স্থানীয় লোকজনকে জানানো হচ্ছে যাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যায়। একান্ত প্রয়োজনে কেউ গ্রামে প্রবেশ করলেও গ্রাম থেকে বের হয়ে ফিরে আসলে তাদের হাত ধুয়ে ও জীবাণুনাশক প্রয়োগের পর মিলছে অনুমতি।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে এ উপজেলায় স্বেচ্ছায় লকডাউন শুরু করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উপজেলাকে লকডাউন করা হয়নি।

নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্তান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মতলবের জনগণ আতঙ্কিত। নারায়ণগঞ্জের সাথে মতলবের চলাচল ও যোগাযোগব্যবস্থা নিবিড়। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ হতে লোকজন মতলবের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলে যাতায়াত করছে। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে যুবসমাজ বৈঠক করে এ গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করছেন। মতলবকে যাতে এ মুহূর্তে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্যে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরদারকান্দি গ্রামের নূরে আলম পাটোয়ারী, রোয়েল, ওমর ফারুক, রিয়াদ হোসেনসহ বেশ কিছু যুবক জানান, আমরা নিজেকে ও গ্রামবাসীকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি।

মতলব উত্তর থানা ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, করোনা মোকাবিলায় সরকার চাচ্ছে ঘর থেকে কেউ যেনো বের না হয়। সে উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ ভালো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএম জহিরুল হায়াত জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উপজেলাকে লকডাউন করা হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছায় এ কাজটি করছে জনগণ। তবে সরকারের নিয়মনীতির বাইরে যাতে কোনো কর্মকা- না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বাইরের জেলা থেকে কেউ এ উপজেলায় আসলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।