নারী ভোটারদের ভাবনা

নির্বাচনের বাকী এক দিন। প্রতিবারের মতো ভোটের ফল অনেকাংশ নির্ভর করবে নারী ভোটারদের উপর। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে এবার ৪৯.৫৭% নারী ভোটার।

রাজনৈতিক ময়দানে বিচরণ কম তাই নারীদের প্রার্থী ও প্রতীক নির্বাচনের বিষয়টি জানা হয় না।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণের বাসিন্দা মোসা. শিউলি আক্তার নামে একজন নারী ভোটার জানান, ভোট আসলে সকল দলের প্রার্থীরা যখন ভোট প্রার্থনা করতেন, তখন ভোটকে উৎসব মনে হতো। এখন তিনি সে আনন্দ দেখতে পান না।

আইরিন আক্তার পুতুল নামে একজন নারী ভোটার মন্তব্য করেন, কুমিল্লায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করি। শনিবার ডিউটি করতে হবে, গ্রামের বাড়ি শহর থেকে ৪০ কিমি. দূরে। যানবাহন বন্ধ থাকলে ভোট দেওয়া হবে না। এটি জীবনে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ভোট।

তবে ব্যতিক্রম সুর শুনা গেল চৌয়ারা বাজার এলাকার আয়েশা বেগমের কন্ঠে।

তিনি বলেন, ভোটের মধ্যে পুরুষ নারী সমান অধিকার। আমার ভোট আমি দেবো। ভোট প্রদানে কেউ যদি বাঁধা দিতে আসে, প্রতিহত করবো। ভোট দেওয়া নাগরিক অধিকার। আমার মেয়ে শ্বশুর বাড়ি আছে, তাকে বলে দিয়েছি, ভোট কেন্দ্র যাওয়ার জন্য।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহাম্মদ মনে করেন, দেশের প্রায় অর্থেক নাগরিক নারী। গুরুত্বপূর্ণ এ জনশক্তির মতামত যাতে বাদ না যায়। সে জন্য সবার ভূমিকা রাখা উচিত। পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করা যেতে পারে। কেন্দ্রে যেন তারা কোন প্রকার হয়রানি শিকাড় না হন, এ বিষয়ে সকল দায়িত্বশীলদের নজর রাখতে হবে। নারীদের মতামত ও অংশ গ্রহণ জাতীয় নির্বাচনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।