চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালন হবে

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, সামনে আসছে আমাদের মুজিববর্ষ। আমরা চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালন করবো। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে ডুকুমেন্টারি প্রদর্শন ও একশ' দিনের কাউন্ট-ডাউনের জন্য খুব শীঘ্রই শহরের লেকের পাড়, ডিসি অফিসের সামনে ও বড় স্টেশন মোলহেডে এলইডি মনিটর স্থাপন করা হবে। সময় বেশী নেই। আপনারা আপনাদের হৃদয়ে ক্ষণ গণনার সিস্টেম দাঁড় করাবেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির শতবর্ষ পালন, এটি খুবই বড় থিম। উন্নত বাংলাদেশ, সুন্দর বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে দেখানের জন্যে 'মুজিববর্ষ' নামে একটি প্লাটফর্ম দাঁড় করানো হয়েছে। একটি দর্শনকে সামনে আনা হয়েছে। পিছিয়ে থাকার সুযোগ কারো নেই। যারা পিছিয়ে থাকবে তাদের জায়গা অন্য জায়গায়। এই প্লাটফর্মের অংশীদার তারা না। গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার উন্নয়ন সমম্বয় কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক সরকারি দপ্তরের মধ্যে গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক, এলজিইডি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যে সব কাজ চলমান রয়েছে, সেসব কাজের মান বজায় রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এর মধ্যে মতলব দক্ষিণ মডেল মসজিদ, কচুয়া মডেল মসজিদ ও ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাজ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন জেলা প্রশাসক।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান ও হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চাঁদপুর পৌরসভা কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি দপ্তরগুলো কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করলে ভালো হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদেরকে জানাবেন, আমাদের মন্ত্রী রয়েছে, উনাকে জানাবেন। আপনাদের কাজের মধ্যে যদি অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকে তাহলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা যাবে। আমাদের মধ্যে আন্তরিকতা থাকলে সব কাজই সহজভাবে করা সম্ভব।

হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, চাঁদপুরের ৭ উপজেলায় পৌরসভা থাকলেও হাইমচরে কোনো পৌরসভা নেই। মেঘনা নদীর দু'পাড়ের এই উপজেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের জন্যে সম্ভাবনাময় উপজেলা। কিন্তু এ উপজেলার উন্নয়ন কাজ করতে হলে আমাকে চেষ্টা তদ্বির করে করতে হয়। তিনি বলেন, কচুয়া উপজেলায় একটি পৌরসভা রয়েছে, আরেকটির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব গিয়েছে। অথচ হাইমচরে একটি পৌরসভার জন্য এখনো কোনো প্রস্তাব যায়নি। হাইমচরে পৌরসভা হলে যেমন উন্নয়ন কাজ বাড়বে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায়ের খাত তৈরী হবে।

তিনি জেলা প্রশাসকের অবগতির জন্য বলেন, হাইমচর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি সড়ক নির্মাণ করার জন্য এলজিইডিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এলজিইডির চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজের অগ্রগতি না করে আমাকে গত কয়েক মাস ঘুরাচ্ছেন।

উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়াসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিগণ।