দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্যপণ্যে ভেজাল নিরূপণের নির্দেশ

ঢাকাসহ সারাদেশের বাজারগুলোতে দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্যপণ্যে কী পরিমাণ ভেজাল মেশানো হয়েছে তা নিরূপণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আওতায় কোন কোন কোম্পানির এ জাতীয় খাদ্যপণ্যে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, কীটনাশক ও সিসা মেশানো রয়েছে, তা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে দুধে সিসা মিশ্রণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছে আদালত।সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদেশে বলা হয়, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের তা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

রোববার গণমাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) এক গবেষণা ফলাফল তুলে ধরে গাভির দুধে (প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া) সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক ও নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান পাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব খাদ্যপণ্যে বিভিন্ন অণুজীবও পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে প্যাকেটজাত গাভির দুধেও অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসা পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত। যাতে বাদ পড়েনি দইও। দুগ্ধজাত এই পণ্যেও মিলেছে সিসা।

এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মামুন মাহবুব। যার কারণে আদালত সোমবার এ আদেশ দেন এবং রুল জারি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।