দুর্গা মন্দির ভাংচুর মামলার আসামী পরান আটক

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার দাসপাড়া দুর্গা মন্দির, ভূমিদস্যু ফরিদ দিদারের নেতৃত্বে ভাংচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়ার মামলার, অন্যতম আসামী কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান পরানকে আটক করা হয়েছে। 

চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ তাকে শহরের স্ট্র্যান্ড রোড এলাকা থেকে আটক করে। তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ছয়জন আটক হলো। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ফরিদ দিদারসহ ৫জন আটক হয়।

আটক মাসুদুর রহমান পরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুতার অভিযোগ রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে হলেও, তার আস্তানা শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় গণি স্কুলের পেছনে। এখানে সে তার বোনের বাসায় প্রায়ই থাকে এবং মাদকের আড্ডা বসায় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। 

তার সাথে মাদক ব্যবসাসহ সকল অপরাধের সহযোগী হচ্ছে জিয়াউল হায়দার জিতু (পিতা- দলিল লেখক খায়রুল ইসলাম বিল্লাল) নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী ও বখাটে। এরা প্রতিদিন কোড়ালিয়া এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক বেচাকেনা করে, আর মাদক সেবনের আড্ডা বসায় মাসুদুর রহমান পরানের আস্তানায়। তাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গণি স্কুলের পেছনে মাদকসেবীদের জমজমাট বিচরণ থাকে। সে আটক হওয়ার খবরে এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষরাতের দিকে অর্থাৎ ১৪ জুন প্রত্যুষে ভূমিদস্যু ফরিদ দিদারের নেতৃত্বে, মাসুদুর রহমান পরানসহ এক থেকে দেড় শ' সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে পুরাণবাজার দাসপাড়া দুর্গা মন্দির ভেঙ্গেচুরে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। চাঁদপুরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন বর্বরোচিত নারকীয় তান্ডবে, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে হতভম্ভ হয়ে যায়। সর্বমহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। 

এ ঘটনায় দাসপাড়া দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ১৫ জুন মামলা করেন। মামলায় ফরিদ দিদার ও মাসুদুর রহমান পরানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত ১৪০/১৫০ জনকে এ মামলায় আসামী করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীকে দ্রুত আটক করার জন্যে বাদীসহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সাথে ৬ জন আসামী আটক করায় চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন এবং পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।