মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বিএফআইইউ-এর কর্মশালা

দেশের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ এর উপর দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

মঙ্গলবার এমসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএফআইইউ-এর প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান।

কর্মশালায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিএফআইইউ-এর কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মত আন্তর্জাতিক সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা উল্লেখ করে আর্থিক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন সময়ানুগ কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। এছাড়া তিনি মানি লন্ডারিং অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি কার্যকর তদন্তের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ পরিপালন ব্যবস্থা মূল্যায়নে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) কর্তৃক সম্পাদিক মিউচ্যুয়াল ইভ্যালুয়েশনে মানি লন্ডারিং বিষয়ক তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের রেটিং সম্পর্কে অবহিত করেন। পাশাপাশি মানি লন্ডারিং ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি বিধানে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ জারি করেছে যা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। 

কর্মশালায় তদন্ত কাজে বিএফআইইউ এর গোয়েন্দা প্রতিবেদনের গুরুত্ব, তদন্ত বা বিচার চলার সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে বিএফআইইউ এর ভুমিকা, মানি লন্ডারিং বিষয়ক অনুসন্ধান ও তদন্ত পদ্ধতি, সম্পত্তি অবররুদ্ধকরণ, ক্রোক, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমস্যা ও সমাধান প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন উপস্থাপনা প্রদান ও প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।