মিনি কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা শিক্ষামন্ত্রীর
দৈনিক চাঁদপুর
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০১৯
চাঁদপুরে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা চরটি হতে যাচ্ছে, এ জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। আরাফাত, অপু, পাবেল, সাগর ও সোহান নামের এই পাঁচ বন্ধুর হাতে গড়া এবং পরিশ্রমের ফসল 'মেঘনার ত্রিমোহনা বীচ'ই হতে যাচ্ছে আকর্ষণীয় এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই পর্যটন কেন্দ্র। যে বীচটি ইতিমধ্যে 'মিনি কক্সবাজার' নামে খ্যাতি পেয়ে গেছে। তবে উদ্যোক্তারা অন্য কোনো জেলার নামে চাঁদপুরের কোনো বিনোদন কেন্দ্র বা পর্যটন কেন্দ্র পরিচিতি পাক তা চান না। তারা চান মেঘনা যেহেতু চাঁদপুরের গর্ব এবং অহঙ্কারের একটি জায়গা তাই তারা এর নাম দিয়েছে 'মেঘনার ত্রিমোহনা বীচ।'
ওই পাঁচ বন্ধুর সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থ এবং পরিশ্রমে গড়ে ওঠা এই বীচ, খুব বেশি সুযোগ-সুবিধা এবং আধুনিক মানের না হলেও, এ অবস্থার মধ্যেও এই বীচের প্রতি মানুষের যে কীরূপ আকর্ষণ জন্মেছে তা দেখা গেছে এই ঈদ ও গত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে বাংলা নববর্ষকে ঘিরে। হাজার হাজার পর্যটক বড় স্টেশন মোলহেড থেকে ট্রলারে চড়ে সেই মিনি কক্সবাজার তথা মেঘনার ত্রিমোহনা বীচে গিয়েছে। শিশু-কিশোর, বয়োবৃদ্ধসহ পরিবারের সকলে সেখানে গিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে। অনেক পর্যটক তখন বলেছেন, কক্সবাজার বীচের চেয়েও এ বীচ অনেক আনন্দদায়ক এবং নিরাপদ এজন্যে যে, এখানে বালুচরে নদীতে নেমে শিশু-কিশোররা নির্ভয়ে খেলতে পারে, হৈ হুল্লোড়, ছুটোছুটি করতে পারে, সমুদ্রের মতো পাহাড়সম ঢেউ এসে কোনো শিশু-কিশোরকে তলিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ভয় এখানে নেই। আর সবচেয়ে আনন্দদায়ক হচ্ছে সমুদ্রের পানি লবণাক্ত আর এখানকার মেঘনার পানি হচ্ছে মিঠা পানি। তাই এই মিঠা পানিতে ডুব দিয়ে সাঁতার কেটে খুব আনন্দ উল্লাস করা যায়।
উদ্যোক্তারা এই 'মেঘনার ত্রিমোহনা বীচ' বাস্তবায়নে 'স্বপ্ন ট্যুরিজম' নাম দিয়ে এর ব্যানারে কাজ করছে। তবে এই বীচটি যেহেতু মেঘনার বুকে জেগে ওঠা চরকে ঘিরে, তাই বর্ষা মৌসুমে এই বীচের কার্যক্রম থাকে না। কারণ, তখন এই চরটি পানির নীচে চলে যায়। শুষ্ক মৌসুমের ৬/৭ মাস এই বীচ চালু থাকবে।
উদ্যোক্তারা কয়েক লক্ষ টাকা পুঁজি এখানে বিনিয়োগ করলেও, মাসখানেক আগে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় 'ফণী'র আঘাতে তাদের সকল কিছু তছনছ হয়ে গেছে। স্বপ্ন ট্যুরিজমের সব স্বপ্ন যেনো চুরমার হয়ে গেছে 'ফণী'র আঘাতে। বীচে স্থাপিত চেয়ারগুলোও তারা সরিয়ে আনতে পারেনি। তখন মেঘনা হঠাৎ উত্তাল হয়ে যাওয়ায় তারা জীবন শঙ্কার ভয়ে, মেঘনা পাড়ি দিয়ে সেই বীচে যাওয়ার সাহস করেননি। ফলে দুর্ভাগ্যবশত যা হবার তাই হয়ে গেছে।
স্বপ্ন ট্যুরিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা তারুণ্যে উজ্জীবিত ক'জন তরুণ উদ্যোক্তার স্বপ্ন, অংকুরেই শেষ হয়ে যাবে তা মেনে নিতে পারছেন না দুজন স্বপ্নবিলাসী মানুষ। তাঁরা দুজন প্রতিনিয়তই চাঁদপুরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। আর তাঁরা স্বপ্ন বলতে ওটাকেই বুঝেন 'যে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না সেটাই স্বপ্ন, আর ঘুমের ঘোরে মানুষ যে স্বপ্ন দেখে সেটা প্রকৃত অর্থে স্বপ্ন নয়।' সেই দুজন স্বপ্নচারী মানুষ হচ্ছেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং তাঁরই বড় ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু।
এ দুজন এবার দায়িত্ব নিয়েছেন স্বপ্ন ট্যুরিজমের স্বপ্ন পুনরায় বাস্তবায়নের। অর্থাৎ মেঘনার ত্রিমোহনা বীচকে আধুনিক মানের ও আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী এবং তাঁর ভাই। বর্ষার পানি নেমে গেলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বীচের কাজ শুরু হবে। যাতে সামনে শুষ্ক মৌসুমের পুরো সময়টাতে এই পর্যটন কেন্দ্রটি জমজমাট থাকে।
উল্লেখ্য, এই স্বপ্ন ট্যুরিজমের যে পাঁচজন স্বপ্নদ্রষ্টা আরাফাত, অপু, পাবেল, সাগর ও সোহান-এরা সবাই চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স করা। পাঁচজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটির নেতৃত্বেও আছেন। আর সে সুবাদে তাদের এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগেরই দুজন অভিভাবক ডাঃ দীপু মনি এবং তাঁর ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু। এই দুজনের অনুপ্রেরণায়ই মেঘনার বালুচরে ত্রিমোহনা বীচ নামে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সাহস পেয়েছে এই পাঁচ বন্ধু।
এই স্বপ্ন এবং কাজে লেগে থাকার বিষয়ে পাঁচ বন্ধুর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আসলে আমরা পড়াশোনা করেছি, পাশাপাশি জাতির পিতার আদর্শে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। চাঁদপুরে আমাদের আদর্শের নেত্রী হচ্ছেন ডাঃ দীপু মনি এমপি। যাঁকে আমরা সবাই 'আপা' বলে সম্বোধন করি। তিনিই আমাদের যত ভালো কাজের পথপ্রদর্শক। আমরা পড়াশোনা করেছি, প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নিয়েছি, সবই ঠিক আছে। আর পড়াশোনা করলে যে শুধু চাকুরির পেছনেই দৌড়াতে হবে তা ঠিক নয়। বরং আমরা সবসময় চিন্তা করেছি আমার পড়াশোনা ও জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে এমন কিছু করতে হবে যেখানে আরো অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়। অর্থাৎ উদ্যোক্তা হওয়া। সে চিন্তা থেকেই আজ আমাদের এসব করা। আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ
হাসিনা এবং দীপু আপাও আমাদের তা-ই শিখিয়েছেন। তাছাড়া আমাদের এ বয়সের ছেলেরা যদি বেকার থাকে তখনই সে মাদক, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা অপরাধের দিকে পা বাড়াবে। তাই বেকার থাকা যাবে না-এটাও আমাদের এ কার্যক্রম থেকে প্রজন্মের শিক্ষণীয় বলে আমরা মনে করি।
- মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
- মদ খেয়ে নারী নিয়ে হোটেলে নোবেল, গভীর রাতে চেঁচামেচি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৫
- দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে
- ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ক্রোয়েশিয়া
- দেশে করোনায় ৮২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮ হাজার
- মোংলা বন্দরের নতুন চ্যানেল নির্মাণ সম্পন্ন
- আয়কর দিতে হবে ৩০ তারিখের মধ্যে
- গ্রামীণ বিদ্যুৎ সুবিধা উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
- দেশের নানা আয়োজনে ১৭-২৬ মার্চ যোগ দেবেন বিশ্ব নেতারা
- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা
- কর্মস্থল ত্যাগকারীদের তালিকা চায় মন্ত্রণালয়
- ‘মধ্যবিত্তদেরও খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে’
- আজ থেকে চালু হচ্ছে মালবাহী ট্রেন
- চালু হলো দেশের প্রথম বেসরকারি আরটি পিসিআর ল্যাব
- করোনার আতঙ্কেও এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ
- উৎপাদন বৃদ্ধিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার
- করোনাকালে চূড়ান্ত এমপিওভুক্তির সুখবর পেল ১৬৩৩ স্কুল-কলেজ
- হাওরে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ধান কাটছেন: কৃষিমন্ত্রী
- ময়মনসিংহে করোনা রোগীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫টি অ্যাম্বুলেন্স
- করোনা মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা দর্শন
- বৈশ্বিক ক্রয়াদেশ পূরণে সক্ষম বাংলাদেশ ॥ শেখ হাসিনা
- মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে মানুষ, দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে
- করোনা পরীক্ষা হবে চার বেসরকারি হাসপাতালে
- ২০ হাজারের বেশি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সুখবর আসছে ব্যাংক সুদে
- গুগল ম্যাপের বিকল্প আনলো হুয়াওয়ে
- অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন
- ঘরে থাকা সাত জিনিস ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর
- ফ্রিজে ২৮ দিন বাঁচে সার্স-কভ ভাইরাস! জীবাণুমুক্ত করার উপায়